Very Recent Posts

Monday, July 23, 2018

গল্প: বাল্য কালের বউ | পর্ব:- (৩)

গল্প: বাল্য কালের বউ | পর্ব:- (৩)

তসিবার কপালে আলতু করে একটা চুমু খেলাম,
ভয়ে ভয়ে তসিবার দিকে তাকালাম দেখি তসিবা একটু
সরে আমাকে ছেরে অন্য দিকে গেছে তখনি
আমি শুয়া থেকে ওঠে গেছি তবে আমার হাতটা
তসিবা তার পেটে এখনো ধরে রাখছে। এখন কি
করি তসিবার পেট থেকে আমি হাত সরাবো কি
করে, মনে মনে এই প্লান করতে লাগলাম। হঠাত
করে মাথায় একটা বুদ্ধি উদয় হলো হ্যা এইটা করতে
হবে। আমি তসিবাকে ছোট ছোট করে ডাক
দিতেছি তসিবা মেম ওঠেন আন্টি আপনাকে
ডাকছেন।(আমি)
তসিবা:- (ঘুমের মাঝে বলতে লাগলো আরেকটু
ঘুমাতে দাও আমি পরে ওঠবো) তখনি হঠাত করে
চোখ মেলে বলে,, এই তুমি এখানে কেন আর
তুমি কি করছো?
আমি:- কিছুনা আপনার পেটে একটা মসা বসেছে
তাই মারতে গেছিলাম কিন#2509;তু আপনি আমার হাত ধরে
রাখছেন।
তসিবা:- আমাকে বোকা পাইছো তাইনা আমাদের
রুমে কোন মস নেয় সত্যি করে বলো তুমি
এখানে কি করতে এসেছো?
আমি:- আন্টি বলছে আপনাকে নিচে যেতেন
ফ্রেস হয়ে, আমাকে বলছে আপনাকে
ঢেকে দিতে তাই ডাক দিতে এসেছি।
তসিবা:- আম্মু তোমাকে পাঠিয়েছে আমাকে ডাক
দিতে দ্বাড়াও আমি এখুনি ডাকতেছি আম্মুকে।
আমি:- আপনাকে কষ্ট করে ডাকতে হবেনা আমি
নিজেই পাঠিয়ে দিতেছি। আচ্ছা এখন আমি যাই
কেমন আমার কলেজে যেতে হবে।
তসিবা:- এই শোন?
আমি:- এত মুধুর কন্ঠে ডাকছেন কেন মেম?
তসিবা:- মাই ফুট, এখন বল যদি তোমাকে আম্মু
আমাকে ডাক দিতে বলে তাহলে রুমের দরজাটা
লক করা ছিলো তুমি ভীতরে আসলে কি করে?
আমি:- দরজাটা খোলা ছিলো যখন আমি ভীতরে
আসি সত্যি বলছি খোলা ছিলো।
তসিবা:- তাহলে আবার লক করা কেন আমাকে
বোকা বানাতে চাচ্ছ?
আমি:- কারন আপনার আব্বু যদি দেখে ফেলে তাই
আমি লক করে রাখছি আর আপনার ঘুমের যা অবস্থা
সব কিছু তো এলো মেলো থাকে।
তসিবা:- একদম ভালো হবেনা কিন্তু কোন ওল্টা
পাল্টা বললে। এখন যাও তুমি আমার রুম থেকে আর
কোন দিন আসবেনা আমার রুমে যদি আসো
তাহলে সেই দিনটা হবে তোমার এই বাড়ীর
শেষ দিন।
আমি:- ঠিক আছে মনে থাকবে আর একটা কথা
অনেক দিন পর এই বাড়ীতে এসে মনের সূখে
কোল বালিশটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়ছি।
তসিবা:- তোমার লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই নাকি
কি যাতা বলছো যাবে এখান থেকে নাকি আব্বুকে
ডাক দিব।
আমি:- এখসি যেতেছি বলে দরজাটা খুলে বাহিরে
এসেছি তখনি,,,
তুমি সাড়া রাত এই রুমে ছিলে ভাইয়া? (তিশা)
আমি:- না তো একটু আগে এসে তোমার আপুর
ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছি।
তিশা:- আমাকে রোজ চকলেট এনে দিতে হবে
তানা হলে আমি আব্বুকে বলে দিব তুমি আপুর
সাথে সাড়া রাত এক রুমে ছিলে।
আমি:- আরে এইটা তো আরো পাকনা বুড়ি, তিশার
মুখ চেপে ধরে বলছি হ্যা তোমাকে রোজ
চকলেট এনে দিব তুমি কাওকে কিছু বলোনা।
তিশাকে বুঝিয়ে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিচে
নামছি সবাই নাস্তা করতেছে আমাকে দেখেই,,
চাচি:- আল এসো নাস্তা করবে।
আমি:- হ্যা আসতেছি।
তসিবা:- এখন এই ছোট লোকটার সাথে বসে
নাস্তা করতে হবে আমি নাস্তা করবো না।
চাচি:- তসিবা কি বলছিস এসব কাল আল না থাকলে
তোর কি অবস্থা হতো তুই জানিস?
চাচা:- কি হয়ছে গতকাল?
চাচি:- শোনেন তারপর চাচি চাচাকে আর তসিবাকে
সব কিছু খুলে বলছে সব কিছু শোনে তসিবা
আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছে মনে হচ্ছে
আজকে আমাকে খেয়ে ফেলবে।
চাচা:- বাবা আল তুমি আমার সম্মান বাচিয়েছো
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আচ্ছা তসিবার যত দিন না
বিয়ে হচ্ছে ততদিন তুমি তসিবার সাথে সাথে
থাকবে প্লিজ বাবা না করোনা।
আমি:- আপনি যেহেতু এত করে বলছেন না করি কি
করে?
তসিবা:- আব্বু আপনি ওকে আমার সাথে সাথে
থাকতে বলছেন?
চাচা:- তসিবা আমি তোমার সব আবদার রেখেছি তুমি
আমার এই আবদার টুকু রাখো আর সোহেল
তোমাকে এখন সময় দিতে পারবেনা ওর নিজের
ব্যবসা আর বিয়ের কেনা কাটা সব নিজেকে
করতে হবে।
তসিবা:- তাই বলে গরিব ছোট লোকের বাচ্ছা একটা
ছেলে আমার সাথে সব যায়গায় যাবে?
চাচা:- হ্যা যাবে যদি কাল তোমার কিছু হয়ে যেত তুমি
ড্রিংক্স কেন করতে গেলে?
আমি:- আঙ্কেল এখন ঐ কথা বাদ দেন তখনি তসিবা
এসে আমার গালে ঠাসস করে একটা থাপ্পর দিয়ে
বলে,,
তসিবা:- তোর কাছ থেকে শিখতে হবে
কোনটা বলবে আর কোনটা বাদ দিবে।
আমি:- সরি আমার ভূল হয়ে গেছে।
তসিবা:- ঠিক কথাটা মনে থাকে যেন, আব্বু আমি
আপনার কথায় রাজি আছি আমি ওকে আমার সাথে
সাথে রাখতে চাই।
চাচা:- ঠিক আছে তাহলে আল তোমার এই কিছু দিন
কলেজে না গেলে কোন সমস্যা হবেনা না
তো?
আমি:- না আমার তেমন কোন সমস্যা হবেনা,
( আমি তো এমনিতে কলেজে যেতে
পারবোনা কারন আব্বুকে বলে আসছি এক মাস
পিকনিকে যাবো) আচ্ছা তাহলে আমি একটু রুমে
যাই বলে রুমে চলে এসেছি আর নিজের রাগ
কন্ট্রোল করতে শিখতেছি না তসিবাকে এখন কিছু
বলবোনা আগে বিয়েটা ভেঙে নেয় এরপর
বুঝাবো আমাকে থাপ্পর দেওয়ার পরিনাম কত
প্রকার ও কি কি? রুমে বসে বসে প্লান করতেছি
তখনি,,
তসিবা:- এই চলো আমি বান্ধবীর সাথে দেখা
করতে যাবো তুমিও আমার সাথে যাবে।
আমি:- ঠিক আছে চলেন তসিবার সাথে আমি ওর
বান্ধবীদের কাছে এসেছি রাস্তায় কোন খারাপ
ব্যবহার করেনি তবে বান্ধবীদের সামনে শুরু
করেছে।
তসিবা:- তুমি ঐ খানে দাঁড়িয়ে থাকো আমি ওদের
সাথে আড্ডা মেরে আসতেছি।
আমি:- ঠিক আছে তসিবা একটা রেস্টুরেন্ট
ঢোকছে আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি অনেক্ষন
হয়ে গেলো তসিবার আসার নাম নেয় আমি একটু
ভীতরে ঢুকে দেখি তসিবা সোহেল আরো
কিছু ছেলে মেয়ে সবাই বসে আড্ডা
মারতেছে আমাকে দেখেই তসিবা ডাক
দিয়েছে,,
তসিবা:- এই ছোট ছেলে এদিকে আয় তুকে না
বলছি আমি না আসা অব্দি বাহিরে অপেক্ষা করতে
তাহলে ভীতরে আসলি কেন?
আমি:- না এমনি দুপুর গড়িয়ে বিকাল শেষ হতে
চলছে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো তাই
ভীতরে এসে দেখছি আপনি আছেন নাকি চলে
গেছেন।
সোহেল:- এই মুখ সামলিয়ে কথা বল তানা হলে
মুখ সেলাই করে দিব বলে দিলাম।
আমি:- সরি স্যার ভূল হয়ে গেছে, তখনি সবাই হাসা
হাসি শুরু করেছে আমি এখন কাওকে কিছু বলতেছিনা
কারন সময়টা আমার পক্ষে নয় তাই। যখন সময় আমার
পক্ষে থাকবে তখন বুঝাবো আমি কি জিনিস।
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে
আছি অনেক্ষন ধরে তাও তসিবার বের হবার কোন
নাম নেয় দুর থাকুক আমার কি আমি চলে যাই তখনি
তসিবা সোহেল সবাই বাহিরে এসেছে।
তসিবা:- আমরা নাইট ক্লাবে যাবো তুমি যাবে
আমাদের সাথে নাকি বাসায় চলে যাবে?
আমি:- হ্যা আপনাদের সাথে যাবো।
সোহেল:- নাইট ক্লাব কিছু বুঝতে পারছো নাকি
জীবনে মনে হয় তুমি চোখে দেখনি তাই
আজকে দেখতে মন চাইছে তাইনা।
আমি:- হ্যা জীবনে এই প্রথম দেখবো, তসিবা
সহ সবাই রওনা দিলাম ভুতরে নাইট ক্লাবে সবাই
ঢুকেছি ভীতরে। সবাই গিয়ে একটু বসে যার যার
মত নাচা নাচি করতে শুরু করেছে আমি বসে বসে
দেখতেছি। ইচ্ছে করছে তসিবাকে কানের
নিচে দুইটা দিয়ে এখান থেকে নিয়ে যাই কিন্তু
পারতেছিনা।
হ্যালো মিস্টার আপনি কি একা, চেয়ে দেখি একটা
ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে।
আমি:- না সাথে আরো কিছু মানুষ আছে ঐ সবাই
নাচতেছে, কিন্তু ভাই একা হলে কি করবো?
ছেলে:- আমাদের কাছে কিছু স্টোক মেয়ে
আছে যারা এখানে একা আসে তাদের সাথে নাচ
করতে যদি লাগে তাহলে বলবেন কেমন?
আমি:- ঠিক আছে আমার লাগবেনা তখনি চেয়ে
দেখি সোহেল ড্রিংক্স আনতে গেছে আর
তসিবার সাথে কিছু ছেলে খারাপ ব্যবহার করতেছে
আমি দেখেও না দেখার বান করে অন্য দিকে
তাকিয়ে আছি কারন দেখি সোহেল এসে কি
বলে ছেলে গুলাকে।
তসিবা:- সোহেল দেখনা এই ছেলে গুলা আমার
সাথে কি সব ব্যবহার করতেছে?
সোহেল:- কামান তসিবা এইটা ক্লাব এখানে যেই
মেয়েকে একা পাবে তার সাথে ছেলেরা নাচা নাচি
করতে আসবে। এতে করে তোমার মন খারাপ
করার কোন কারন নেয়।
তসিবা:- কিন্তু ওরা আমার ওরনা নিয়ে গেছে।
সোহেল:- নিয়ে যাক আমি তোমাকে এর
চেয়ে দাম দিয়ে দশটা ওরনা কিনে দিব। তখনি আমি
একটু কাছে গিয়ে,,
আমি:- ও তাই তাহলে সোহেল যা বলছে একদম
ঠিক আছে, আচ্ছা সোহেল ঐ খানে একটা
মেয়ে একা দাঁড়িয়ে আছে আপনি গিয়ে ওর সাথে
একটু ডান্স করে আসেন।
সোহেল:- তসিবা তুমি থাকতে আমি অন্য
মেয়ের সাথে ডান্স করবো তা কি করে হয়, আর
তোমার কাছে তো খারাপ লাগবে তাইনা তসিবা তুমি
এই ছোট লোকের বাচ্ছাকে বলো এইটা?
আমি:- মেম প্লিজ আপনি দশ মিনিটের জন্য
সোহেলকে সময় দিন প্লিজ।
তসিবা:- ঠিক আছে সোহেল আল ইসলামের কথাই
রইলো আমি তোমাকে দশ মিনিটের জন ঐ
মেয়েটার সাথে ডান্স করতে অনুমতি দিলাম।
আমি:- এই হইনা বাত, ঠিক আছে আমি মেমকে
দেখে রাখছি আপনি যান ওনার সাথে ডান্স করে
আসেন। আমি তসিবাকে আমার সাট খুলে দিয়েছি
কিন্তু নিতে চাইছেনা পরে কি মনে করে সাটটা
পরেছে। সোহেল ঐ মেয়েটার কাছে গিয়ে
মেয়েটার হাত ধরে একটা টান দিয়ে ডান্স করতে
চাইছে তখনি,,, মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড এসে আচ্ছা
মত ধুলাই দিয়েছে।
তসিবা:- আরে সোহেলকে ছেলেটা
মারতেছে যাও ওকে বাচাও।
আমি:- ছেলেটা সোহেলকে মারবেনা তো
আমাকে মারবে অন্যের গ্রালফ্রেন্ডের সাথে
খারাপ ব্যবহার করবে আর তার বয়ফ্রেন্ড চুপ করে
থাকবে তা কি করে হয়। তখনি সোহেল
এসেছে চোখ ফুলে গেছে আর সাট ছিরে
গেছে।
সোহেল:- ছেলেটা কত খারাপ দেখছো তসিবা
আমাকে চালাকি করে মাইর গুলা খায়িছে। এই তোর
জন্য আমি মাইর খাইছি এখন তোর একদিন কি আমার
একদিন।
আমি:- আমার কি দোষ আপনি তো বলছেন এইটা
ক্লাব এখানে কোন মেয়ে একা থাকলে তার
সাথে ছেলেরা খারাপ ব্যবহার করবে। ঐ মেয়ে
কিন্ত একা দাঁড়িয়ে ছিলো তাহলে ওর সাথে ডান্স
করতে গেছেন কিন্তু ওর বয়ফ্রেন্ড এসে
দেখছে আপনি ওকে ডিসট্রাব করছেন তাই মাইর
দিছে। আপনার উচিত ছিলো তসিবার ওরনাটা ফিরেয়ে
আনার।
তসিবা:- আচ্ছা আল তোমার কি উচিত ছিলোনা আমার
ওরনাটা ফিরিয়ে আনার তুমিও তো দেখছো
ছেলে গুলা আমার ওরনাটা নিয়ে গেছে।
আমি:- হ্যা তাতে কি হয়ছে আমি তোমার জন্য এত
গুলা ছেলের সাথে ঝগড়া করতে যাবো কেন
আর তুমি আমার কে?
তসিবা:- আব্বু তোমাকে বলছে আমার সাথে
থেকে আমাকে দেখে রাখতে আর তুমি রাঝি
হয়ছো কিন্ত।
আমি:- এখন আপনার সাথে সোহেল ছিলো
তাহলে আমি যাবো কেন? আচ্ছা অনেক হয়ছে
এখন বাসায় চলেন তখনি তসিবা আমাকে একটা ঠাসস
করে থাপ্পর দিয়ে বলে,,
তসিবা:- তোমার মত কাপুরুষ আমার জীবনেও
দেখিনি তুমি চলে যাও আমি নিজে নিজে যেতে
পারবো, এই সোহেল চলো তোমাকে নিয়ে
ডাক্তারের কাছে যাই।
আমি:- হ্যা যান তাতে আমার কি আমিও তসিবার কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে ঐ ছেলে গুলোকে
খুঝতে গেলাম। কিছুক্ষন খুঝার পর চেয়ে দেখি
একটা ছেলে গলাই পেছিয়ে রাখছেে ওরনাটা
আমি কাছে গিয়ে ওরনাটা ধরে এক টান ওর সাথে যারা
ছিলো সব মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে সব
কয়টাকে একটা করে লাথি দিয়ে ওরনাটা নিয়ে
সোজা বাসায় এসে গেছি। বাসায় এসে দেখি তসিবা
অনেক আগেই চলে এসেছে।
চাচি:- আল এতক্ষন কোথায় ছিলে?
আমি:- একটু কাজ ছিলো তাই দেরি হয়ছে, চাচির কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে রুমে এসে ওরনাটা নিজের
কাছে রেখে দিয়েছি। খাঠের উপর শুয়ে
আমাদের # বাল্য_কালের_ছবি বিয়ের ছবিটা
দেখতেছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে
নেয় সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে
নাস্তা করতে গেছি। তখনি মনে হয়ছে আমার
#বাল্য_কালের_ছবি বিয়ের ছবিটা তো খাঠের
উপরে তারা তারি করে রুমে এসে তো আমি
থমকে গেলাম ছবিটা ওর হাতে কাম সারছে।

 চলবে,,,,,
next part পেতে হলে সাথেই থাকুন....!!!
ভালোবাসার মিষ্টি সকাল

ভালোবাসার মিষ্টি সকাল

,,, ভোর ৬ টা,,,,ঘুমিয়ে আছি,,,
হঠাৎ শীতল ঠোঠের স্পর্শে দেহের শিরা উপশিরা গুলো কম্পিত হতে লাগলো,,,,,
চোখ খুললাম,,,দেখি আমার পাগলীটা মুচকি মুচকি হাসছে,,,
ভালোবাসার মানুষগুলোর ছোয়ার মাঝে একধরনের অদ্ভুত ভালোলাগা বিরাজমান।
যা কারো কাছে ইলেকট্রিক সর্ট আবার কারো কাছে সাগরের অতলের মতো।
বউ :-- এই উঠো! অনেক সকাল হয়েছে,,,
স্বামী :-- হুমমম,,,(ঘুমিয়েই)....
বউ :-- হুম না,,, উঠো,,,
স্বামী:-- এই কোথায় যাচ্ছো একটু বুকে আসো নাগো!!!
-- আহা কি করছো? সবসময় দুষ্টুমি করতে হয়!!! আমার চুলগুলো সব এলোমেলো করে দিল,,,,
--হুম, আর সেটা তোমার সাথেই,,,।
এই এখন ছাড়ো,ফ্রেস হয়ে এসো,,,যাও
-- যাচ্ছি, তার আগে একটু আসো তো এই বলেই পাগলীটাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম,,,,,খুব শক্ত করে
-- ওর ভেজা চুল,,চুল গুলো থেকে এক ধরনের অদ্ভুত ঘ্রাণ বের হচ্ছে,যা ঘরটিকে মাতিয়ে তুলছে।
-- এই এখনতো ছাড়ো,,,আরেকটু প্লিজ!!!নাহ ছাড়ো,,,,
--আমি এবার আরো শক্ত করে ওর দু হাত চেপে ধরলাম,তারপর নাকের ডগাটা ওর নাকের সাথে ঘষা দিলাম।
-- ও আমার বুকের উপর কয়েকটা কিল ঘুসি মেরে পালালো।
-- আর যাবার সময় জিব্বাহ কেলিয়ে গেল মনে হচ্ছে আমাকে পরে দেখে নেবে,,,😛
-- ফ্রেস হয়ে দেখি বউ রান্না ঘরে,বউটা আজ চাপা শাড়ি পরেছে,আচলটা কোমরে গুজা।👌
-- চুলগুলো খুলা অবস্থায় মাথার সাথে ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখা,,,
-- দেখতে তো সেই লাগছে,,,👌👌না আর থাকা যায়না,,,
-- আস্তে আস্তে গিয়ে পেছন থেকে ওকে যাপটে দরলাম,,হুহুহু আবার শুরু করলে???
-- হুম আসলে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে তো তাই লোভ সামলাতে পারলাম না,,,হি হি হি😜😜💜
-- ওহ,, তাই বুঝি???হুমমম,,,ঠিক তাই!!!
-- ওওও,তাহলে এখন ছাড়ো,নাহলে রুটি পুরে যাবে এই বলে আমাকে চিমটি কাটলো,,,
-- আমি হাল ছেড়ে দিয়ে রুমে চলে আসলাম, কিছুক্ষন পরে,,,,,,,
-- এই খেয়ে নাউ,,, খাবার রেডি,,আসতেছি(চিল্লানি দিয়ে),,,তারাতারি আসো!!!
-- এসে দেখি পরিটা খাবার নিয়ে বসে আছে,,, তুমি বসো,,,,আমি আসছি
-- কোথায় যাচ্ছো আবার,,?আমি ওর হাতটা ধরলাম।
-- তুমি শুরু করো,আমি এই যাবো আর আসবো,নাহ,,,একসাথে খাবো
-- ওকে বাবা আসতেছি,,, পাগল একটা এই বলে, আমার খারা নাকটা বোচা করে দিলো
-- চোখাচোখি বসে আছি দু জনে,,, এই পাগলি খাইয়ে দাও না???
-- নিজে খেতে পারোনা,দিন দিন কি ছোট হয়ে যাচ্ছো যে খাইয়ে দিতে হবে???
-- নাহ পারছি না তুমি খাইয়ে দাও,,,,পারবো না,পারবো না,,
-- ওকে তুমি খাইয়ে না দিলে আজ খাবোই না,,,,(অভিমানি সুরে)😒😒😒😉
-- এখন ও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,,,! আহ বউয়ের হাতে খাওয়ার মজাই আলাদা,,,😍
-- মাঝে মাঝে রাগ থেকে যদি দারুন কিছু হয় তাহলে তো রাগই ভালো,,,,
-- বাহ দারুন হয়েছে সত্যি,,,(মন ভূলানো হাসি দিয়ে) হুম😆
প্রত্যেকটি মেয়েই চায় যে,,,তার সব কিছুর প্রসংসা করুক,তার সব চাইতে কাছের মানুষটি,,,,
-- এক টুকরো রুটি ছিড়ে, এই পাগলি হা করো,,,,,
-- আগে তুমি খাউ তারপর আমি খাচ্ছি,নাহ,,,হা করো প্লিজ,,,,
--ওকে,,,,,,,,,,
ও অামার হাতটি ধরে গলগদ্ধকরন করলো
-- এই পাগলী কাঁদছো কেন😭???হুম ও কিছুনা,,, এমনিতেই চোখে পানি এসে গেলো😭
-- দেখি,,,ওর চোখের জ্বল টা মুছে দিলাম,জানি এই জ্বলটার মূল্য কতখানি,,,,
মাঝে মাঝে এই জ্বলই তো বলে নিরবে প্রকাশ করে ভালোবাসি কতটুকু,,,ভালোবাসা যায়,,,
-- এরপর ওকে বুকে টেনে নিলাম,,অনেক ভালোবাসি পাগলীটাকে,,,,,
এসময় শুধু একটা কথাই মনে পরেছে,,,
ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে।
ভালোবেসে ভালোবাসায় বেধে যে রাখে।
গল্পঃ কোলবালিশ বউ | লেখকঃNiloy Ahmed

গল্পঃ কোলবালিশ বউ | লেখকঃNiloy Ahmed


____ বউ আরে ও বউ " বলছি এই অবসরপ্রাপ্ত কোলবালিশটাকে আবার কেন আমাদের মাঝে হাজির করলা.! এটাকে সরাও তাড়াতাড়ি। (আমি)
____খবরদ্বার যদি কোলবালিশে হাত দাও তাহলে কিন্তু হাত ভেঙ্গে দিবো !! (অনিকা)
____হে হে, তাহলে তো ভালই হবে তুমি নিজের হাতে খাইয়ে দিবে। (আমি)
____উহ আমার ঠেকা, তোমাকে খাওয়াতে যাবো কোন দুঃখে। (অনিকা)
____দুঃখে খাওয়াবে কেন ,, সুখে খাওয়াবা। (আমি)
____দেখ. বক বক না করে ঘুমাও আর আমাকেও ঘুমাতে দাও?? (অনিকা)
____তাহলে এই কোলবালিশটাকে মাঝখান থেকে সরাও? (আমি)
____বললাম না কোলবালিশ এখানেই থাকবে !! (অনিকা)
____বউ এমন করো কেন, আমার কিন্তু সেই রকম শীত লাগছে, কম্বলের নিচেও কাপা কাপি শুরু হয়ে গেছে " (আমি)
____তো আমি কি করবো? (অনিকা)
____তুমি কোলবালিশটাকে সরিয়ে আমাকে একটু...??? (আমি)
____উফ,,তুমি চুপ করবে? না তোমার গায়ে পানি ঢেলে দিতে হবে।। (অনিকা)
____উরে বাবা,, এই শীতে পানি? না থাক কোলবালিশ সরাতে হবে না, আর আমাকেও জড়িয়ে ধরতে হবে না..হু??(আমি)
____বউ ও বউ তুমি আজ এমন করছো কেন হঠাৎ করে বিনা ঘোষনায় হরতাল দেওয়ার মানে কি।। (আমি)
____ওই কথা বলতে নিষেধ করলাম না তোমায়, আবার কথা বলো কেন। (অনিকা)
____ধুর আর ভাল্লাগেনা। এই শীতের রাতে বউ ছাড়া কেমনে কি " একই বিছানায় আছি একই কম্বলের নিচে আছি অথচ কেউ কাউকে ছুঁতে পারবো না। এমন অবিচার সহ্য হয়,, বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম, বাতি জ্বালিয়ে পানি খেলাম? অনিকা তখন দেয়ালের দিকে মুখ করে শুয়ে আছে।
____পানি খেয়ে বাতি নিভাতে গেলাম "তখন হঠাৎ ক্যালেন্ডারে চোখ পড়তেই অবাক। আজ ১২ জানুয়ারি,, হায় হায় আজতো অনিকার জন্মদিন। এখন সবকিছু স্পষ্ট হয়ে গেছে! কি কারনে এই হরতাল আর কি কারনে কোলবালিশের আগমন তা মহুত্বেই বুঝে গেলাম। আজ অনিকার জন্মদিন আর এ কারনেই হয়তো সকালে কাজে বের হবার সময় বলেছিল তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে??
____নিজের মাথার চুল ছিড়তে চেষ্টা করছি,, কিন্তু পারছি না। পাঁচ বছর প্রেম করার পর আমরা বিয়ে করেছি " ওই পাঁচ বছরে আমি একবার ও অনিকার জন্মদিনের কথা ভুলিনি,, অথচ বিয়ের প্রথম বছরে ভুলে গেলাম।
.
____অনিকা ঘুমিয়ে গেছো নাকি। ও আমার আদুরে বউ রাগ করছো কেন.. সরি বলেছি তো আসলে কাজের চাপের কারনে তোমার জন্মদিনের কথা ভুলিয়ে গেছি। (আমি)
____তাহলে যাও তোমার কাজ নিয়েই থাকো, আমার কাছে আসছো কেন।(অনিকা)
____জান পাখিটা এদিকে আসো তোমাকে একটা পাপ্পি দেই তাহলে দেখবা রাগ কমে গেছে। (আমি)
____দেখ, আমার মেজাজ খারাপ করবা না বলে দিলাম?? (অনিকা)
____অনিকা কম্বল মুড়ে দিয়ে শুয়ে পড়লো অনেক ডাকা ডাকি করলাম কিন্তু কোন লাভ হলো না, মাথাটা পুরা গরম হয়ে গেছে এখন সব রাগ গিয়ে পড়ছে কোলবালিশের উপর। ইচ্ছা করছে কোলবালিশটাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি,, আচ্ছা কোলবালিশের ভিতরে তো তুলা,, তুলা খেতে কেমন লাগে কেউ জানেন..?? জানলে আমাকে একটু জানায়েন "
____ঘরের ভিতরে পায়চারি করছিলাম হঠাৎ....???


<<<<চলবে>>>>
বেকার স্বামী | লেখকঃ Samadder Chayon

বেকার স্বামী | লেখকঃ Samadder Chayon

মেহা খুব সুন্দরী না হলেও মোটামুটি সুন্দরী।একটা কোম্পানির এমডি।পারবারিক অবস্থাও বেশ ভালো।মেহা যে রাস্তা দিয়ে অফিসে যায় প্রতিদিন একটা ছেলেকে দেখতে পায়।মেহা ওই রাস্তা দিয়ে যখন হেটে যাই ছেলেটাও তার পিছু পিছু যায়।কিন্তু মেহা আজ ২দিন ধরে ছেলেটাকে দেখছে না।ছেলেটাকে মিস করছে মেহা।প্রতিদিন যখন ছেলেটার সাথে দেখা হত।তখন দুজনের ভিতরে চোখাচোখি হত।দুজন দুজনকে দেখে মুচকি হাসি দিতো।ব্যাপরটা মেহা বেশ ইনজয় করতো।
২য় দিন ছেলেটাকে না দেখতে পেয়ে মেহা বাড়িতে চলে আসলো।এবং ভাবলো কাল যদি ওই শয়তানটাকে দেখতে পাই।তবে আচ্ছা করে বকা দিবো।আমার মনটা চুরি করে ওনার পাত্তা নেই।কাল তুমি আসো দেখাবো মজা..
পরেরদিন মেহা পুরো প্রস্তুতি নিয়ে গেলো..আজ ছেলেটাকে চরম বকা দিবে।মেহা সেই রাস্তায় আসতেই দেখতে পেলো ছেলেটা কয়েকজনের সাথে আড্ডা দিচ্ছে..তাই মেহা ভাবলো আজ কিছু বলবেনা।কিন্তু পরেক্ষনেই সিন্ধান্ত পাল্টে নিলো।এবং ছেলেটার কাছে গিয়ে তার শার্টের কলার ধরে নিয়ে একটা ফাকা জায়গায় এনে সামনে দাড় করালো..
ওহ ছেলেটার পরিচয় দেওয়া হয়নি..ছেলেটা হলাম আমি..নামতো শুনাহি হোগা
তবুও বলি..আমি চয়ন।পড়াশোনা শেষে।বর্তমানে বেকার কোম্পানিতে চাকরি করি।ঢাকা শহরে পড়ে আছি শুধু মেহাকে প্রতিদিন একপলক দেখার জন্য..দুইটা টিউশনি করে ভালোই চলে যায়..
:-এই ছেলে নাম কি?(মেহা)
:-আ আ আমার?
:-নাহ..আমার।
:-মেহা চৌধুরি
:-ফাজিল তোমার নাম বলো..
:-আমি চয়ন সমাদ্দার
:-এই দুইদিন কোথায় ছিলে?
:-শরীরটা একটু খারাপ ছিলো..
:-এখন শরীর কেমন?
:-এখন ভালো..
:-তা আমাকে ফলো করা হয় কেনো শুনি?
:-আপনাকে ভালোওওওওও...
:-বলার সাহস নাই..আবার আমার মন চুরি করে বসে আছে
:-আমি তোমাকে ভালোবাসি মেহা..(হাটু গেড়ে ফুল নিয়ে..আজ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম)
:-মন যেহেতু চুরি করেছো..তাহলে তো আর ফিরিয়ে দেওয়া যাবেনা..
:-তারমানে তুমি রাজি?
:-রাজি না হয়ে উপায় আছে..আর এখন যাই..আর শুনো এখন থেকে বিকালে নিতে আসবে
:-আচ্ছা আসবো..নাম্বারটা দাও
:-০১৭১২৩*****
:-বিকালে কল দিবো..
:-আচ্ছা বাই..
আমাদের সম্পর্কটার শুরু এভাবেই হয়েছিল..প্রতিদিন মেহাকে নিয়ে আসা আর নিয়ে যাওয়া করতে হতো আমাকে।আর রাত জেগে কথা বলাতো থাকতই..আমাদের সম্পর্কের তিনমাস পর মেহা একদিন বললো..
:-চয়ন বাবা তোমার সাথে দেখা করতে চাই
:-কেনো?
:-আমি আমাদের সম্পর্কের কথা বাবাকে বলে দিয়েছি..
:-তোমার বাবা মেনে নিয়েছে আমাদের সম্পর্ক?
:-হুম..আমি ছোট থেকেই বাবার ইচ্ছামতো চলেছি..আমার ইচ্ছা ছিলো ডাক্তার হবো।কিন্তু বাবার কথায় অনার্স&মাস্টার্স করে।বাবার কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছি।আর আমি বাবাকে বলে রেখেছিলাম আমি আমার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবো..
:-কিন্তু এখনো আমি বেকার..বিয়ের পর তোমাকে খাওয়াবো কি?
:-কেনো আদর খাওয়াবা..
:-আদর দিয়ে পেট ভরবে?
:-হুম..তুমি শুধু আদর খাওয়ালেই চলবে।আর আমিতো চাকরি করি তাইনা?
:-কি বলো?বৌয়ের টাকায় বসে খেতে লজ্জা করবেনা..
:-লজ্জা করবে কেনো?নারী পুরুষ সমান অধিকার।তাছাড়া সব ছেলেরা বেকার মেয়েকে বিয়ে করতে পারলে আমি কেনো বেকার ছেলেকে বিয়ে করতে পারবনা?সংসারে একজন উপার্জনকারী থাকলেই যথেষ্ট..
:-তোমার সাথে কথায় পারা যাবেনা..
:-হুম..
অতঃপর মেহার সাথে ওদের বাসাতে আসলাম..ওর বাবার সাথে দেখা করলাম..তিনি আমার বাবা মাকে আসতে বললেন..তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো..বিয়ের পর মেহার বাবা আমাদের আলাদা একটা ফ্লাট দিলেন।ভালোই সুখে চলছিলো আমাদের সংসার..কিন্তু সুখটা বেশিদিন স্থায়ী ছিলনা..
বিয়ের পর থেকে বাড়িতে রান্না বান্না সহ সকল কাজ আমিই করতাম..আর মেহাকে ফোন করে খোজ খবর নিতাম সময়..
একদিন মেহাকে অফিস টাইমে ফোন দিলাম..১ম বার রিসিভ হলোনা কিন্তু ২য় বার রিসিভ হলো..
:-হ্যালো পাখি..
:-বারবার ফোন দিচ্ছো কেনো?জানোনা এখন অফিস টাইম..বিরক্ত করা ছাড়া কাজ নাই?বসে বসে খাও বুঝবে কি করে টাকা উপার্জন করা কত কষ্ট লাগে..খালি পারো সবসময় ঢং করতে..
মেহার এমন কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে গেলাম..আমাদের এতদিনের সম্পর্কে কোনদিন মেহা এমন কথা বলেনি..আর সত্যিই তো আমি বসে বসে খাই..আর নেহাকে বিরক্ত করি..তাহলে কারো বিরক্তির কারন হয়ে থাকবনা..তাই সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম..বাসের ভিতরে বসেই কথাগুলো ভাবছিলাম..
টুং টাং শব্দ করে ফোনে ম্যাসেজ আসলো..ওপেন করে দেখি মেহার ম্যাসেজ.."সরি বাবু..আসলে একটা গুরুত্বপূর্ন ডিল হাতছাড়া হয়ে গেছিলো..তাই রেগে ছিলাম।এজন্য তোমাকে খারাপ কথা বলে ফেলেছি"
আমি প্রতিউত্তরে লিখলাম.."সব সমস্যার সমাধান সরি তে হয়না।আর রাগ করলে মুখ থেকে সত্য কথাই বের হয়..চিন্তা করোনা খুব তাড়াতাড়িই মুক্তি পেয়ে যাবে"
ম্যাসেজটা সেন্ড করেই সিমটা পাল্টে নিলাম..
মেহাকে কখনো গ্রামে নিয়ে আসিনি আর বাড়ির কারও নাম্বার ওর কাছে নাই..সো যোগাযোগের সব পথ বন্ধ...
.
বাড়িতে আসতেই মা এসে জিজ্ঞেসা করলো?
:-বৌমা কোথায়?
:-এতদিন পর বাড়িতে আসলাম..কোথায় আমার কথা জিজ্ঞাস করবে তা না বৌমাকে নিয়ে পড়লে..তোমার বৌমার অফিস আছে তাই আসেনি..
:-কিছু হয়েছে তোদের মধ্যে?
:-নাহ..
মাকে কোনরকম কাটিয়ে রুমে চলে আসলাম..মা হয়ত কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে..এতক্ষন জার্নি করার ফলে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি..তাই এসেই ঘুমিয়ে পড়েছি..ঘুম ভাঙল সন্ধার পর..ঘুম ভেঙে দেখি মেহা আমার বুকে শুয়ে আছে..কিন্তু মেহা এখানে আসলো কিভাবে?ওকে দেখে রাগটা আরো বেড়ে গেলো..তাই বুকের পর থেকে নামিয়ে দিয়ে উঠে দাড়ালাম..তখন ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো..
:-বাবু আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ..আমি তখন রাগের মাথায় ওসব বলে ফেলেছি..
:-তুমিতো অন্যায় করোনি তাহলে ক্ষমা চাচ্ছো কেনো?দোষ আমার আমি তোমাকে বেশি বিরক্ত করেছি..তাই তোমাকে মুক্তি দিয়ে চলে এসেছি
:-আমি মুক্তি চাইনা..তুমি আমাকে আরো বিরক্ত করবা..তবুও আমাকে এত বড় শাস্তি দিওনা প্লিজ..আমি আর কখনো এমন করবোনা প্লিজ ক্ষমা করে দাও..
:-ওকে দিলাম..পাগলী একটা..
:-হুম শুধু এই পাগলটার পাগলী
দুজন দুজনকে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে নিলাম..


                                                    >>THE END<<
কলিগের মেয়ে | লেখকঃ Samadder Chayon

কলিগের মেয়ে | লেখকঃ Samadder Chayon

অফিসে যাবো বলে উপর থেকে নিচে নামছিলাম..সিড়ির ভিতর দেখা হলো বাড়িওলার সাথে..তিনি সাথে সাথেই আমাকে একটা দুঃসংবাদ দিলেন..মানে আমাকে ২দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দিতে হবে।কারন তিনি একটা ভালো পরিবার পেয়েছেন।আর আমিও বাসা ছাড়তে বাধ্য।কারন কথা ছিলো যেকোন সময় আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে হতে পারে..একটা ব্যাচেলরের কাছে এটাই সবথেকে বড় দুঃসংবাদ..অনেক কষ্ট বাসাটা ভাড়া পেয়েছিলাম..প্রমি আমাকে বাসাটা ঠিক করে দিয়েছিলো..প্রমি হলো আমার সাবেক প্রেমিকা..এখন আর নেই।সে নিজেই আমার থেকে মুক্তি চেয়েছিলো..আমিও তাকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছি..আমাদের প্রেমের শুরু কলেজ লাইফ থেকে..আমি যখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি।প্রমি তখধ ইন্টার ২য় বর্ষে পড়তো।ওর মাথাতে বিশাল লম্বা চুল ছিলো।যা আমাকে আকৃষ্ট করেছিলো..ব্যাস আমি একদিন প্রপোজ করলাম।কিছুদিন আমাকে ঘোরানোর পর গ্রহন করেছিলো..

২বছর খুব ভালোই চলেছিলো..কিন্তু যেদিন আমি চাকরি পেলাম।এবং খবরটা প্রমিকে দেওয়ার জন্য দেখা করলাম..সেদিন প্রমি হটাৎ করেই ব্রেকাপ চাইলো..আমি ব্রেকাপ দিয়ে দিয়েছিলাম..কারন আমি জানি জোর করে ভালোবাসা হয়না..
পুরানো কথা বাদ দিলাম..আজ ১ বছর ধরে একটা কোপ্পানিতে চাকরি করছি..যা পায় তা দিয়ে আমার ভালোভাবেই চলে যায়..আমি কোনদিন বাবা মাকে দেখিনি..এতদুর এসেছি নিজের চেষ্টায়...
মনটা খারাপ করেই অফিসে চলে আসলাম।কারন আমার বাসা খুজতে হবে তাও আবার ২ দিনে ভেতর..এত্তগুলা চিন্তা নিয়েই ডেস্কে বসলাম..
:-কি ছোটভাই মন খারাপ নাকি?(সবুজ দাদা)
[সবুজ দাদা এই অফিসের অভিজ্ঞ&পুরানো একজন কর্মচারী..১বছর ধরে পাশাপাশি ডেক্সে কাজ করাই পরিচয় আছে ভালোই]
:-হ্যা দাদা..(আমি)
:-কেনো?কোন সমস্যা?
:-হুম..বাসাটা দুইদিনের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে..এত তাড়াতাড়ি আমি নতুন বাসা পাবো কোথায়?
:-ও এই ব্যাপার?
:-হু দাদা..ব্যাচেলর মানুষ এত দ্রুত বাসা ভাড়া পাবো কোথায়?
:-তুমি যদি চাও তবে আমার বাসার চিলেকোঠার রুমটাতে থাকতে পারো..তবে ভাড়া দিবোনা..
:-ধন্যবাদ দাদা..অনেক বড় উপকার করলেন..
:-আচ্ছা কবে উঠছো?
:-কাল?
:-আচ্ছা..যাওয়ার সময় ঠিকানা নিয়ে যেও
:-আচ্ছা..
সারাদিন অফিস শেষে..আসার সময় সবুজ দাদার কাছ থেকে ওনার বাসার ঠিকানা নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম..
বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে নিশ্চিন্তে একটা ঘুম দিলাম..
সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস গেলাম এবং অফিশ থেকে ২ঘন্টার ছুটি নিলাম..তারপর একটা গাড়ি ভাড়া করে বাসার সব জিনিসপত্র নিয়ে সবুজ দাদার বাসাতে গেলাম..সবুজ দাদার বৌ আমার রুম দেখিয়ে দিলো..একটাই রুম।খাওয়া দাওয়া ওনাদের সাথেই..যাহোক সব জিনিসপত্র রুমে সাজিয়ে অফিসে চলে আসলাম..
অফিস শেষে আমি আর সবুজ দাদা আমার বাইকে চলে আসলাম..আমি একটু ফ্রেশ হয়ে ছাদে বসে ফেসবুক চালাচ্ছিলাম..
কিছুক্ষন পর পেছন থেকে নারীকন্ঠ ভেসে এলো..
:-এইযে খেতে আসুন..
কন্ঠটা খুব চেনা চেনা লাগছে..তাই একটু কৌতুহল নিয়ে পেছনে তাকালাম..দেখি প্রমি।প্রমিও আমাকে দেখে অবাক হয়েছে..
:-তুমি এখানে?(প্রমি)
:-আসলে আমি জানতাম না এইটা তোমাদের বাসা..জানলে কখনো আসতাম না..আগের বাসাটা হটাৎ করে ছেড়ে দিতে হলো আর সবুজ দাদা বললো তার এখানে থাকার জন্য..তাই আমি রাজি হয়ে গেছি..আমি সত্যিই জানতাম না এটা তোমাদের বাসা..
:-এত কথা আমি শুনতে চাইনি..খেতে ডাকছে খেতে আসো..
:-আচ্ছা..
প্রমি আমাকে বলেছিলো আমি যেনো কখনই তার সামনে না যাই..কিন্তু এখন ওর বাসাতেই থাকতে চলে এসেছি..
নিচে খেতে চলে আসলাম..খাওয়ার টেবিলে নতুন করে সবুজ দাদা প্রমির সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিলো..প্রমি এমন ভাব নিলো যেনো আমাকে চিনেই না..আমিও তাই করলাম..খাওয়া শেষে রুমে চলে আসলাম..
এর পর থেকে যতটা সময় বাসাতে থেকেছি..সবসময় রুমে বসেই কাটিয়ে দিয়েছি।কারন রুম থেকে বের হলেই প্রমির সাথে দেখা হয়ে যেতে পারে..এভাবেই কেটে গেলো মাসখানিক..
রুমে থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছিলাম তাই আজ আবার ছাদে উঠলাম..কিন্তু যেতেই প্রমিকে ছাদে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম..তাই আমি নিচে চলে আসছিলাম।তখন প্রমি পিছন থেকে বললো..
:-চলে যাচ্ছো কেনো?এদিকে আসো
:-না থাক পরে এক সময় আসবো..
:-আমি আসতে বলেছি তোমাকে(রেগে গিয়ে)
প্রমির এই রাগান্বিত রুপকে বরাবরই ভয় পেয়েছি..আজও ব্যাতিক্রম হয়নি।তাই প্রমির কাছে গিয়ে দাড়ালাম..
:-খাওয়ার টেবিলে ছাড়া দেখাই যাইনা..সারাক্ষন রুমে কি করো?
:-কেউ একজন বলেছিলো তার সামনে না যেতে..তাই রুমে থাকি..
:-এখন ভালোবাস আমাকে?
:-আমার ভালবাসা এতটা হালকা নয় যে..এক নিমিষেই মুছে যাবে..
:-আমি যদি ফিরে আসতে চাই..আমাকে গ্রহন করবে?
:-একবার মন ভেঙ্গে গেলে..তা ওত সহজে জোড়া লাগেনা..
:-আমি ভালোবাসা দিয়ে তোমার মনটাকে জোড়া লাগিয়ে দিবো..
:-তোমার ভালবাসা অতটাও গাড়ো নয়..
:-প্লিজ একটা সুযোগ দাও..
:-আবার ফিরে আসতে চাও কেনো?
:-কারন আমি ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই
:-তাহলে আমি বিয়ের আয়োজন শুরু করে দিই(আমি কিছু বলার আগেই পিছন থেকে বলে উঠলো)
পিছনে তাকিয়ে দেখি সবুজ দাদা..তিনি আবার বললো..
:-যাক ভালোই হয়েছে।তোমরা একে অপরকে ভালোবাসো..আমি চেয়েছিলাম প্রমির সাথে তোমার বিয়ে দিতে..তোমার প্রেম করো..আমি বিয়ের আয়োজন করি..
কথাটি বলেই সবুজ দাদা চলে গেলো..আর প্রমি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলো..
:-প্লিজ একটা সুযোগ দাও..অনেক ভালবাসবো..
:-ঠিক আছে দিলাম..তবে এটাই শেষ সুযোগ..এবার ছেড়ে গেলে খবর আছে..
:-জীবন থাকতে আর তোমাকে ছেড়ে যাবোনা..
:-মনে থাকে যেনো?
:-খুব মনে থাকবে..
:-পাগলি আমার..
:-হুম পাগলের পাগলি..হি হি হি
অতঃপর আবার নতুন শুরু...

                                                                   >>THE END<<
ঝগড়াটে জুটির বিয়ে  | লেখকঃ Samadder Chayon চয়ন সমাদ্দার | পর্বঃ০৩ ও শেষ

ঝগড়াটে জুটির বিয়ে | লেখকঃ Samadder Chayon চয়ন সমাদ্দার | পর্বঃ০৩ ও শেষ

অতঃপর খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম..তারপর নিচ থেকে উপরে চলে আসলাম..
এসেই ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম..
অবশেষে তৃনার পরীক্ষার দিন আসলো..বাবা বাইক রেখে গেছে তৃনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য..
আমি রেডি হয়ে নিচে এসে গ্যারেজ থেকে বাইকটা বের করে তৃনাকে ডাক দিলাম..
তৃনা এসে বাইকে বসলো..বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তাতে আসলাম..আসতেই দেখি নেহা আমাদের এদিকে আসছে..নেহাকে দেখে তৃনা পেছন থেকে বলে উঠলো..তাই আমি ব্রেক করলাম..
:-নেহা জানু..(চিৎকার করে)
:-তৃনা জানু..আমাকে রেখেই চলে যাচ্ছিস?
:-তুই আমাকে বলেছিস?তুই আমার সাথে যাবি?
:-বলতে হবে কেনো?আমি কখনো আমার তৃনা জানুকে রেখে কোথাও গেছি?
:-উফফফ!সরি..আয় একসাথেই যাবো
:-হু চেপে বস..
অতঃপর নেহা সুন্দরীও আমার ঘাড়ে চেপে বসলো থুক্কু বাইকে চেপে বসলো..ভাবতেই কেমন লাগছে..আমি বাইকে করে দুই সুন্দরীকে নিয়ে যাচ্ছি..
দুই সুন্দরীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে রওনা দিলাম..রাস্তায় সবাই আমদের দিকেই তাকিয়ে ছিলো..মনে হচ্ছে রোড শো করছি..
কিছুক্ষন বাদে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌছালাম..তারপর ওর দুজনে বাইক থেকে নামলো..আর তৃনা বললো..
:-চয়ন তুই বাড়িতে যা..৩ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যাবি আমাদের
:-আচ্ছা..ঠিক আছে..
তারপর নেহা আর তৃনা দুজনে ভিতরে চলে গেলো..আমিও বাড়িতে ফিরে আসলাম..
বাড়ি এসে খাওয়া দাওয়া করে..বই পড়ছিলাম..বই পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল নাই..
ঘুম থেকে উঠে দেখি..তৃনাকে আনতে যাওয়ার সময় পেরিয়ে ১৫ মিনিট বেশি হয়ে গেছে..আমি ভাবলাম হয়ত ওরা ফিরে এসেছে..তাই শিওর হওয়ার জন্য নিচে গেলাম..কিন্তু তৃনাকে দেখলাম না।তাই দ্রুত বাইক নিয়ে রওনা দিলাম..
পৌছে দেখি তৃনা,নেহা দুজনেই দাড়িয়ে গল্প করছে..আমি ওদের কাছে যেতেই তৃনা মারতে মারতে বললো..
:-কুত্তা আসতে এত দেরি হলো কেনো?কতক্ষন থেকে দাড়িয়ে আছি..পা ব্যাথা হয়ে গেছে
:-তৃনা জানু..ওকে মারা বন্ধ করো।এইটা পাবলিক প্লেস
:-হুম..আয় বাইকে ওঠ
:-হুম..
অতঃপর আবার দুজন বাইকে উঠে বসলো..তারপর সোজা বাড়িতে এসে থামলাম..তৃনা নেমে পড়লো কিন্তু..নেহা নামলোনা
:-চয়ন জানুকে একটু বাড়িতে পৌছে দিয়ে আয়(তৃনা)
:-আচ্ছা..
অতঃপর নেহাকে নিয়ে রওনা দিলাম ওদের বাড়ির দিকে..রাস্তায় নেহার সাথে একটাঔ কথা হয়নি..
নেহাদের বাড়িতে আসার পর নেহা বাইক থেকে নেমে বললো..
:-চয়ন ভিতরে আসো..
:-না আজ থাক..অন্য একদিন যাবো
:-আচ্ছা..তাহলে তোমার নাম্বারটা দিয়ে যাও
:-আমার নাম্বার কি করবেন?
:-এমনিতেই..
:-আচ্ছা নিন ০১৭১১*******।আসি তাহলে
:-ওকে..সবধানে যেও
নেহাকে ওদের বাসার সামনে রেখে আমি বাড়িতে ফিরে এলাম..
এরপর থেকে নেহা আর তৃনাকে প্রতিটা পরীক্ষায় নিয়ে যেতাম আর নিয়ে আসতাম..নেহাকে ফোন নাম্বার দেওয়ার পর থেকে নেহা মাঝে মাঝে কল দিতো আমাকে টুকটাক কথা হতো...
দেখতে দেখতে ওদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলো..তারপর থেকে নেহা আরো বেশি ফোন দিতো..আর এদিকে বাড়িতে তৃনা জ্বালাতন করতো..
একদিন পড়ছিলাম তখন নেহা ফোন করলো..
:-কি করছো?
:-এইতো পড়ছি..তুমি?
:-তোমার সাথে কথা বলবো ভাবছিলাম..কিন্তু তুমি যেহেতু পড়ছো তাই তোমার সময় নষ্ট করবনা..একটা কথা কাল........এখানে চলে আসবে
:-কেনো?
:-আসলেই বলবো..আর টাইমটা আমি টেক্সট করে দিবো..
:-আচ্ছা..বাই
:-মন দিয়ে পড়ো..বাই
:-হুম..
নেহার সাথে কথা শেষ করে আবার পড়াতে মন দিলাম..রাতে নেহার টেক্সট করে টাইম জানিয়ে দিলো..
পরেরদিন বাবা অফিসে যাইনি তাই বাইক বাড়িতে ছিলো..আমি বাইক নিয়ে সোজা তৃনার দেওয়া ঠিকানাতে..চলে আসলাম।দুর থেকে যতটুকু দেখা যাচ্ছিলো মনে হলো তৃনা শাড়ি পরে এসে..
কাছে গিয়ে দেখলাম সত্যিই শাড়ি পরে এসেছে..এমনিতেই সুন্দরী আবার শাড়ি পড়েছে একেবারে সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে..
:-এই পরে দেখার অনেক সময় পাবে বসো
:-ওহ..হুম
:-আসতে অসুবিধা হয়নিতো?
:-না..এখন বলো কিজন্য ডেকেছো?
:-দেখো চয়ন তুমি হয়ত ভাববে আমি মজা করছি..কিন্তু আমি সিরিয়াস।তোমার সরলতা,ভদ্রতার প্রেমে পড়ে গেছি।আমি তোমাকে ভালোবাসি..
:-(সত্যিই আমার কাছে এটাকে মজা মনে হচ্ছে..কারন ওর মতো সুন্দরী আমাকে কিভাবে ভালোবাসবে)
:-এই কিছু বলো..?
:-নেহা আমি উত্তরটা একটু ভেবে রাতে জানাই?
:-ঠিক আছে তবে হ্যা উত্তর চাই..চলো এখন ঘুরবো
:-আচ্ছা চলো..
অতঃপর নেহাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরলাম..বাড়ি ফিরতে ফিরতে বিকাল হয়ে গেলো..বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখলাম..অনেক পরিচিত আত্মীয় এসেছে..বাড়িটা হালকা সাজানো..মাত্র কয়েক ঘন্টার ভিতরে এত কিছু হয়ে গেলো..কিন্তু কেনো?সেইটা জানার জন্য উপরে উঠছিলাম..তখন পাড়ার কয়েকটা বৌদি এসে ধরলো..
:-চলো দেবরজি?
:-কোথায় যাবো?
:-স্নান করাতে হবে না?
:-আরে ধুর স্নান আমি একাই করতে পারি..
:-কিন্তু আজ যে আমরা তোমাকে স্নান করাবো?
:-কোন উপলক্ষে?
:-এমা!আজ তোমার না বিয়ে?
:-আমার বিয়ে?
:-হ্যা তোমার বিয়ে..চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে স্নান করাতে হবে
:-বৌদি ১মিনিট আমি বাবার সাথে কথা বলবো..
:-আচ্ছা যাও..
আমার বিয়ে অথচ আমি জানিনা?দ্রুত বাবার রুমের এলাম..তারপর বাবাকে জিজ্ঞাস করলাম..
:-বাবা এসব কি শুনছি?আজ নাকি আমার বিয়ে?
:-ঠিকই শুনেছো..আজ তোমার বিয়ে
:-মানে হঠাৎ করে বিয়ে কেনো?
:-আজ যখন তুমি আমার বাইক নিয়ে প্রেম করতে গেছিলে..তখন আমি বাইক নিতে গেছিলাম তোমার থেকে..কিন্তু গিয়ে দেখলাম তুমি প্রেম করছো..ছোট থেকেই তোমার আর তৃনার বিয়ে ঠিক করে রেখেছি..ভেবেছিলাম তোমার পড়া শেষ হলে বিয়েটা দিবো।কিন্তু বাধ্য হয়ে বিয়েটা আজই দিতে হচ্ছে..
:-বাবা...
:-আমি কোন কথা শুনতে চাইনা..বিয়ে হবে এটাই ফাইনাল..
.
শেষমেষ আমার আর তৃনার বিয়েটা হয়েই গেলো..আমি গিয়ে বাসর ঘরে ঢুকলাম..
:-ওই তুই নাকি নেহার সাথে প্রেম করিস?
:-নারে!আজই মাত্র প্রপোজ করলো..
:-শোন আজ থেকে নেহা টেহা বাদ..আজ থেকে তুই আমার আর আমি তোর..বুঝেছিস?
:-হুম
অতঃপর ফোনটা নিয়ে নেহাকে টেক্সট করলাম."নেহা তোমাকে নিয়ে ভাববার আগেই তৃনা আমার গলায় ঝুলে পড়েছে.."
.


                                                             >>THE END<<

Sunday, July 15, 2018

রাগী মিষ্টি বউ | লিখাঃ Md Safiqul Islam Safiq

রাগী মিষ্টি বউ | লিখাঃ Md Safiqul Islam Safiq

সুমা কাপড়ের ব্যাগটা হাতে নিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে আবারো বললো ,,, .. ---সুমাঃ আমি কিন্তু সত্যি সত্যিই চলে যাচ্ছি। আর ফিরবোনা কখনো। .. আমি পেপারটা মুখের সামনে ধরে রেখেই বললাম .. --- তপুঃ হুম। গেলে একবারে যাওয়াই ভালো। বারবার ঝামেলা করার কি দরকার? --- সুমাঃ কি... আমি ঝামেলা করি? ঝামেলাতো তুমি করো। তোমার মত দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষকে বিয়ে করে জীবনটা শেষ করে দিলাম। আর থাকছিনা এখানে। --- তপুঃ আচ্ছা যাবেতো চলে যাও। এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে তর... ওহ স্যরি মানে কথা বলার কি দরকার। .. (যদি তর্ক করছে বলি তবে আরো আধা ঘন্টা ঝারবে আমাকে। তাই আর বললাম না) .. --- সুমাঃ ঐ তুমি কি বললে? আমি তর্ক করছি? --- তপুঃ না না আমি সেটা কখন বললাম? আমি বলছিলাম যে তাড়াতাড়ি যাও। নইলে ট্রেন মিস করবে। --- সুমাঃ এই আমি কি যা তা ফ্যামিলির মেয়ে যে ট্রেনে ধাক্কাধাক্কি করে যাবো? আমি CNG করে যাবো। ---তপুঃ আচ্ছা বাবা যাও CNG তেই যাও। --- সুমাঃ ছিঃ কি বললা তুমি এটা? আমি তোমার WIFE, আর তুমি আমার সাথে কথা বলার সময় বাবা শব্দ উচ্চারণ করলা। এই তোমার কি কমন সেন্স বলতে কিছু নেই? --- তপুঃ আরে ওটাতো কথার কথা বলেছি। ---সুমাঃ কথার কথাই বলবা কেন তুমি? কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানোনা তুমি? --- তপুঃ ওকে এরপর আর কখনো তোমার সাথে কথা বলার সময় ঐ শব্দটা উচ্চারণ করবোনা। :) --- সুমাঃ আরে তুমি আমাকে পাবা কই যে কথা বলবা? আমিতো এক্ষুনি চলে যাচ্ছি। --- তপুঃ ও হ্যাঁ। তুমিতো চলে যাচ্ছো। ভালোভাবে যেও। --- সুমাঃ আমি ভালোভাবে যাই আর মন্দভাবে যাই সেটা আমার ব্যাপার। তুমি বলার কে? --- তপুঃ ওহ তাইতো! আমি বলার কে? ওকে স্যরি। ---সুমাঃ স্যরি বললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? বিয়ের পর থেকে কত কত ভুল করেছো তুমি আমার সাথে? কতবার স্যরি বলবে আর। লজ্জা করেনা তোমার এতবার ভুল করতে আর স্যরি বলতে? --- তপুঃ আমার লজ্জা শরম একটু কমই। আর সেটাতো তুমি জানোই। --- সুমাঃ কেন লজ্জা কম থাকবে তোমার? তুমি একটা পুরুষ মানুষ না? পার্সোনালিটি বলতে কিছু নেই কেন তোমার? --- তপুঃ লজ্জাতো নারীর ভূষণ। ওটা পুরুষদের একটু কমই থাকে। --- সুমাঃ কম কি বলছো? ওটাতো তুমার একবারেই নেই। .. এইবার আমি আর কিছু বললাম না। কেবল চুপ করে রইলাম। পেপারটা এখনো মুখের উপরেই ধরা আছে। ওর দিকে তাকাচ্ছিনা আমি। তাকালে আরো জোড়ালোভাবে ঝগড়া করবে। আসলে মেয়েটা আমাকে খুব ভালোবাসে। ছয় বছর প্রেম করে বিয়ে করেছি আমরা। ও অনেক বড়লোক বাপের মেয়ে। ওর বোনদের সব বড় বড় ঘরে বিয়ে হয়েছে। ওর পরিবার বারবার না করা সত্বেও ও আমাকেই বিয়ে করছে। পাঁচ বছর হয় বিয়ে করেছি আমরা। আমি ওকে তেমন কিছুই দিতে পারিনি। আর ও কিছু চায়ওনা আমার থেকে শুধু ভালোবাসা ছাড়া। কিন্তূ এই ভালোবাসাটাতে ঘাটতি পরলেই যত সমস্যা। তখন ও বউ থেকে কাঁচা ধানী লংকা হয়ে যায়। ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে যাবার হুমকি দেয়। যদিও আমি জানি যে ও কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেনা। কারণ ও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেনা সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। আর ওর রাগটা কমে গেলে পড়ে গভীর রাতে যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমার পা ধরে এত কান্নাকাটি করে যে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিন্তূ আজকে আমি নিজেই অনেক ভয় পাচ্ছি। কারণ গতকাল আমাদের ম্যারিজ ডে ছিলো। কিন্তু আমি অফিসের কাজের জন্য বাসায় আসতে পারিনি রাতে। ও আমার জন্য কেক নিয়ে বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরেছিলো। তাই আজ একটু বেশী রেগে আছে। মনে মনে ভাবছি যদি সত্যি সত্যিই চলে যায়, তাহলেতো আমি শেষ। আমি একদিনও চলতে পারবোনা ওকে ছাড়া। মনে মনে আইডিয়া করে রেখেছি যদি সত্যি সত্যি গেটের বাহিরে চলে যায় তবে কোলে করে নিয়ে আসবো। কিন্তু তার আগে ওর ভাবটা দেখি। আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে গেলেতো হেরে যাবো। সুমা এখনও ব্যাগ হাতে দরজার সামনে দাড়িয়ে আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। আমি একটা ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে সামনে থেকে পত্রিকাটা সরিয়ে ওকে আবারো জিজ্ঞাসা করলাম ,,, .. --- তপুঃ কি ব্যাপার যাওনি এখনো? --- সুমাঃ আমি কি তোমার পকেট থেকে টাকা চুরি করি যে, টাকা থাকবে আমার কাছে? ভাড়া না দিলে যাবো কিভাবে? :/ এইবার আর হাঁসি চেপে রাখতে পারলাম না। শব্দ করে হেঁসে দিলাম। আর সাথে সাথেই ও ছিঁচকাঁদুনে মেয়েদের মত কাঁদতে লাগলো। আমি তখন উঠে গিয়ে ওর চোখ দুটো মুছে দিতে দিতে একটু ভঙ্গিমা করে বললাম ,,, .. --- তপুঃ থাক সোনা। তাহলে আর যেতে হবেনা। .. ও কিছু না বলে কেবল আমার কাঁধে মাথা রাখলো। আমিও ভীষণ ভালোবাসি আমার লক্ষিটাকে।
রং নাম্বারের বাস্তব কাহিনি. | লিখাঃ সেই অচেনা ছেলে

রং নাম্বারের বাস্তব কাহিনি. | লিখাঃ সেই অচেনা ছেলে

ছেলে: হ্যালো.
মেয়ে: কে আপনি?
ছেলে: আমি
মেয়ে: কাকে ফোন দিয়েছেন?
ছেলে: সরি আমি ভুল নাম্বারে কল দিয়েছি।
মেয়ে: ওকে,আর ফোন দিও না,
লাইন ("কাট")
:
ছেলে পরের দিন কল দিয়ে বসল..
মেয়ে: এই ছাগল তোকে বলেছি না ফোন দিবি না..("কাট")
ছেলে আবার কল দিল...
মেয়ে: এই কূত্তার বাচ্চা ফোন দিলি কেন, ("কাট")
# নাইম এভাবে একধারে ৩মাস বকা শুনল সে কখনই মেয়েটাকে কিছুই বলেনি।
ছেলে আবার কল দিল...
মেয়ে: এই ছাগলের বাঁচ্চা তরে এত বকা দেই তার পরেও
ফোন দেস কেন,আসলে তোর জন্মের ঠিক নাই তোর মা তোকে কিভাবে জন্ম দিছে হ্যা। লাইন ("কাট")
ছেলে: এত বড় বকা শুনে দু চোখে পানি চলে আসল.
তখন বলল মেডাম আমি ইচ্ছা করেই ৩মাস আপনার বকা শুনেছি শুধু
আপনার কণ্ঠটা শোনার জন্য
এত বড় বকা দিলেন আজও কিছু বলব না,শুধু এটুকুই
বলব যে আপনার কণ্ঠটা অনেক সুন্দর!
লাইন ("কাট")
_মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে ৩মাস পর হঠাৎ মানসিক চাপে
পরে গেল মেয়েটি ঠিকমত ঘুমাইনা খায়না কারো সাথে কথাও বলে না. মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ,তার কিছুই ভাল লাগে না. শুধু এটাই ভাবে ছেলেটাকে এত বড় বকা দিলাম একটু প্রতিবাদ ও করল না.
ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে.
মেয়ে কল দিল কিন্তু ৬মাস হয়ে গেল ফোন বন্ধ.
ছেলের জন্য তার মা বাবা বিয়ে ঠিক করেছে
রাত পোহালেই তার বিয়ে
হঠাৎ বন্ধ সিম চালু করতেই দেখে ৫ হাযারের ও বেশি মিসকল এলার্ট ঐ মেয়েটার।
২মিনিট পরই মেয়েটির কল আসল....
ছেলে: হ্যালো.
# মেয়ে কান্নার সুরে বলে
তুমি কই ছিলা এতদিন?
ছেলে: আমি কই ছিলাম তা জেনে আপনার কি প্রয়োজন?
মেয়ে: আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি!
ছেলে:তুমি ৩মাস বকা দিয়ে ভালোবেসেছো,
আর আমি প্রথম বকা খেয়ে তোমাকে
ভালোবেসেছিলাম।
ঠিক আছে ক্ষমা করে দিব যদি তুমি
অামার বিয়েতে আসো.
মেয়ে: কি করে আসব কাল তো আমারো বিয়ে!
,
বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়িতে আসল ছেলেটি.
বাসর রাতে যখন মেয়ের কাছে গিয়ে দেখে,
মেয়ে এত কাঁন্না করছে যার কোন সীমা নাই.
মেয়ে: ওগো স্বামী আমার একটা কথা রাখবা..
ছেলে: বলো নিশ্চয় রাখবো,
মেয়ে: আমি বিয়ের আগে একটা ছেলেকে ৩মাস বকা
দিয়েছি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি তোমার সাথে বাসর করব তুমি কি এই ইচ্ছেটা পূরণ করবে?
ছেলে:ও আমার জান তুমি যাকে বকা
দিয়েছিলে আমিই সেই ভাগ্যবান ছেলে আমার মা বাবা যে আমার জন্য তোমাকে ঠিক করেছে
তা আমি আগে জানতাম না ।
দুজন দুজনের গলা জরিয়ে ধরল.. এবং এই আনন্দে ওরা বাসরের কথা ভুলেই গেছে!
,
আর গল্পটিও শেষ হলো..
অসমাপ্ত ভালোবাসা | লিখাঃ Sabrina Akhtar Sumi

অসমাপ্ত ভালোবাসা | লিখাঃ Sabrina Akhtar Sumi

,,,,ফোনে কথা হচ্ছে,,,,
নীলা = তোমার এই ঘ্যানঘ্যান প্রতিদির আমার আর
ভালো লাগেনা!
আকাশ = ভালো লাগে না মানে!
তুমি কি বলতে চাও?
নীলা = আমি বলতে চাই , আমি আমাদের সর্ম্পক
আমি আর টানতে পারবো না!
আকাশ = টানতে পারবো না মানে কি?
নীলা = মানে না বোঝার তো কিছু নেই,
আমি ব্রেকাআপ চাইছি!
আকাশ = ব্রেকআপ!
নীলা = হাঁ ব্রেকআপ!
আকাশ = সিরিয়াসলি বলঝো!
নীলা = হুম সিরিয়াসলি,
.... Bye...
কিছুক্ষণ পর!
আকাশ নীলাকে ফোন করলো....
নীলা = বললাম তো ব্রেকআপ আবার কি!
আর কিছু বলার আছে?
আকাশ = হুম আছে!
নীলা = দেখো তোমার আর কোন কথা শুনার ইচ্ছে নেই।
আকাশ = শুনতে হবে না, আমি তোমার সাথে দেখা
করবো।
নীলা = আমি আসতে পারবো না!
আকাশ = আসতে পারবে না মানে!
তাহলে কি আমি তোমার বাড়িতে আসবো?
নীলা = এই না,
তুমি থাকো আমি আসছি!

....এক ঘন্টা পরে...
আকাশ ও নীলার দেখা হল।
আকাশ = তুমি তখন কি বলছো,
আমাদের ব্রেকআপ তাই না?
নীলা = হুম!
আকাশ = আবার বলো.........
নীলা = ব্রেকআপ!
আকাশ = সিরিয়াসলি বলো...
নীলা = এক কথা কত বার বলবো!
আকাশ = আচ্ছা!
এইটা আমাদের কত তম ব্রেকআপ?
নীলা = আমার মনে নেই,
হবে হয়তো ২১৬/২১৭ তম!
আকাশ = তোমার মাথার চুল এত পাতলা কেন?
নীলা = তুমি কি এগুলার আস্ত রাখছো।
তোমার মেজাজ গরম হলে তো এগুলার উপর
হামলা হয়।
আকাশ = মাইর চর কবে খাইছো মনে আছে?
নীলা = আমি কি সত্যি সত্যি এগুলা বলছি,
তুমি এত রেগে যাচ্ছো কেনো?
আকাশ = তাহলে ফোনে কি যেন বলেছিলে?
নীলা = সেতো আমি এমনি বলেছি!
আকাশ = এমনি বলছো তাই না?
নীলা = সেতো তুমিও বলছো!
আকাশ = হাঁ বলি, যখন আমি....
নীলা = আচ্ছা থাক না এই সব!
আকাশ = চল......
তারপর দুজন হাটতে হাটতে কথা বলছে...........
নীলা = জানো আমাদের এই ছোট ছোট ব্রেকআপ গুলা
মাঝে মাঝে এই ভাবে খুব কাছে নিয়ে আসে!
আকাশ = তোমাকে আজ দারুণ লাগছে,
অনেক টা পাগলির মত!
নীলা = জানি, চল ওই দিকটায় বসি!
এই ভাবে চলতে থাকে তাদের
!!!.... অসমাপ্ত ভালোবাসা....!!!


                                                      

                                                                 সমার্প্ত

Wednesday, July 11, 2018

  গল্পঃ অভিমান । পর্ব- ৩য়। লেখাঃ পাগল লেখক

গল্পঃ অভিমান । পর্ব- ৩য়। লেখাঃ পাগল লেখক

- সেদিন প্রথম কাউকে ফোন দিতে গিয়ে ঘাবরে গিয়েছিলাম । তার পরও ফোন দিয়েছিলাম । ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই রিসিভ করলো মেঘা । যেন আমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলো ।
.
- হ্যালো ...( আবির )
.
- হুমম বলুন .( মেঘা )
.
- তুমি আবার আপনি করে বলছ ।
.
- সরি ....বল ....?
.
- ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই যে রিসিভ করলে ....।
.
- তোমার ফোনের অপেক্ষাই ছিলাম । আর এখন আমার কথা মনে পরলো ।
.
- হুমম আসলেই দেরি হয়ে গেল ।
.
- এরপর দুজনের মাঝে অনেক কথা হলো ।
.
- কাল কি আমার স্কুলের সামনে একটু আসতে পারবা ......? ( মেঘা )
.
- কেন ....? (আবির )
.
- তোমাকে দেখবো তাই ...।
.
- আাচ্ছা দেখি কি করা যায় .......।
.
- পরের দিন সকালে ......
.
- মারিয়া ..মারিয়া ...কোথায় তুই .....।
.
- কি হলো ভাইয়া এভাবে ডাকছিস কেন ....?
.
- তারাতারি তৈরি হয়ে নে , তোকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আমি কলেজে যাবো ....।
.
- কি ...ভাইয়া তোমার মতলব তো আমার কাছে ভালো লাগছে না । খবর কি .....?
.
- ওই মতলব মানে ....তুই একা একা স্কুল যাস । আমি ভাবলাম তোকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আমি কলেজে যাব।
.
- নাহ ,,, তুই এটা ভাবার মানুষ না । আমি এতদিন এত করে বলেছি তুই তবুও আমায় নিয়ে যাস না । আর আজ নিজেই নিয়ে যেতে চাইছিস । নিশ্চই কোন গরবর আছে .....
.
- থাক তোকে যেতে হবে না । আমি একাই যাব ....
.
- আরে রাগিস কেন । একটু দাড়া আমি এক্ষনি আসছি ।
.
- স্কুল যাওয়ার পথে ......
.
- আচ্ছা ভাইয়া সত্যি করে বলতো । আমি একা যাই বলে তুই আমাকে নিয়ে যাচ্ছিস না কি অন্য কিছু ।
.
- আরে কিছু না । চুপ থাক তো । নাহলে এখানেই নামিয়ে দেব ....
.
- থাক নামাতে হবে না । আমি কিন্তু জানতে পারবো তোর মতলব টা কি ....?
.
-যখন জানবি তখন বুঝে নিস .....।
.
- আরে ভাইয়া স্কুলের গেটে দাড়িয়ে ওটা মেঘা আপু না ....?
.
- হবে হয়তো .....নাম এখন ..।
.
- একি মেঘা আপু তো এদিকেই আসছে ।
.
- আসুক তাতে আমার কি ...? ( আর আসার সময় পেলো না । একটু পরে আসলে কি হত ।)
.
- এই জন্যই তো বলি আজ সাহেবের এত তারা কিসের । কি ভাইয়া জল কতদুর গড়ালো ।
.
- একটা দিব থাপ্পর বেশী কথা বলিস ।
.
- দেখেছ মেঘা আপু তোমার সামনে আমাকে থাপ্পর মারতে চাইছে .....।
.
- তুমি ওকে রাগ হচ্ছো কেন ...? (মেঘা )
.
- তো কি করবো । দেখনা কিসব আজে বাজে কথা বলছে ।
.
- হয়েছে আর বলতে হবে না । আমি যাচ্ছি তোমরা মনের সুখে কথা বলো । ....( মারিয়া )
.
- চলো ওই দিকটায় একটু বসি । ( আবির )
.
- তুমি কলেজ এ যাবা না । ( মেঘা )
.
- একদিন কলেজ না গেলে কিছুই হবে না ।
.
- তাহলে চলো ......
.
- সেদিন দুজনে অনেক কথা বলছিলাম । সেদিন থেকে দুজনের সম্পর্ক অনেকটা গাড়ো হয় । আমরা দুজনেই বুঝতে পারি যে আমরা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছি । কিন্তু কেউ কাউকে বলার সাহস পাচ্ছিলাম না । এদিকে মারিয়াও অনেকটা বুঝতে পেরেছিলো যে আরা দুজন একে অপরের প্রতি দুর্বল । আমিও অস্থির হয়ে উঠি মেঘাকে ভালোবাসার কথাটা বলার জন্য । কিন্তু কিভাবে বলবো তার সাহস পাচ্ছিলাম না ।
.
- ডিসেম্বর মাসের পনেরো তারিখ মেঘার জন্মদিন ছিলো । ভেবেছিলাম সেদিনই ওকে ভালোবাসার কথাটা বলে দিব । তাই ওর জন্য একটা আংটি কিনে রাখি ।
.
- মেঘার জন্মদিনের আগের রাতে মেঘা আমাকে ফোন দিয়ে বলে ওর জন্মদিনে যেন নীল পান্জাবী পরে যাই । যেদিন মেঘার জন্মদিন সেদিন আমরা সবাই একসাথে মেঘাদের বাসায় গিয়েছিলাম । যাওয়ার সময় মারিয়া আমার কানে কানে বলেছিলো ভাইয়া আজ মনের কথাটা মেঘা আপুকে বলে দিস । সেদিন ওর কথার কোন পতিক্রিয়া আমি দিতে পারিনি ।
.
- আরে বন্ধু আসো ভিতরে আসো । কেমন আছেন ভাবি । ( আংকেল )
.
- জ্বী ভাই ভালো আছি ....( মা )
.
- তার পর আমরা অনেকের সাথেই পরিচিত হলাম । কিন্তু মন যেন শুধু মেঘাকে দেখার জন্য ব্যকুল হয়ে আছে । তাই বার বার চারপাশে তাকাচ্ছিলাম ।
.
- কি ভাইয়া এত চারপাশে কি দেখছো । ধৈর্য ধরো ,, দেখবে ঠিক চলে আসবে ।
.
- উফফফ ....এই মেয়েতো দেখি আমায় একটুও শান্তিতে থাকতে দিবে না । সব সময় আমার পিছে লেগে থাকে ।
.
- একটু পর মেঘা ওর রুম থেকে বের হলো ....আমি সেদিন ওকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম । যেন আমার চোখের সামন দিয়ে কোন নীল পরি আসছিলো । সেদিন ওকে নীল শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগছিলো । তখন বুঝতে পারছিলাম ও কেন আমায় নীল পান্জাবী পরে আসতে বলছিলো ।
.
- আসার সময় মেঘাও আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো । ওর চোখের ওই কামুক দৃষ্টি টা আমাকে এতই জড়িয়ে নিয়েছিলো যে মনে হয়েছিলো সারাজীবন ওই দৃষ্টিতে ডুবে থাকি ।
.
- তারপর মেঘার জন্মদিনের কাজ শুরু হতে লাগলো । আর আমি ভাবছি কিভাবে ওকে আমার মনের কথাটা বলব ।
.
- তারপর মমবাতি নিভিয়ে কেক কাটা শুরু হয়ে গেল । মেঘা কয়েকজন কে নিজ হাতে কেক খাওয়ালো । তার পর এক পিচ কেক নিয়ে আমার সামনে এসে দারিয়ে বলল । হা করো .....
.
- আমিয়ো আর কিছি না বলে হা করলাম ।
.
- ও আমাকে কেক খাইয়ে দেওয়ার সময় আস্তে করে বলল । সারা জীবন যেন খাওয়াতে পারি সেই অধিকারটা দিলেই তো হয় । বলে আস্তে করে আমার হাতে একটা চিরকুট দিয়ে চলে গেল ।
.
- আমিতো অবাক হয়ে দাড়িয়ে আছি ওর কথাটা শুনে । তারপর একটু সাইড হয়ে চিরকুট টা খুললাম । ওখানে লেখা " তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে । একদম আমার মনের রাজপুত্রের মতো " । লেখাটি পরার পর নিজের ভিতর একটা ভালোলাগা অনুভুত হতে লাগলো । তরপর জন্মদিনের সকল কাজ শেষ । আংকেল আর বাবা মা বসে গল্প করছেন । সেই সময় ফোনে একটা মেসেজ আসে । মেসেজ টা ছিলো " একটু ছাদে আসবা "
.
- আমি আর একটুও দেড়ি না করে ছাদে চলে গেলাম । গিয়ে দেখি মারিয়া আর মেঘা গল্প করছে । আমায় আসতে দেখে মারিয়া বলল...ওই যে তোমার মজনু এসে গেছে ওর সাথেই এখন গল্প করো আমি গেলাম .....বলেই চলে গেল....।
.
- আমি গিয়ে মেঘার পাশে দারালাম ।
.
- আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে । ( আবির )
.
- মেঘার মুখে লজ্জার ছাপ দেখা গেল । বাঙ্গালী মেয়েদের লজ্জা ভরা মুখ সব সময়ই ছেলেদের আকর্ষন করে । যার ব্যতিক্রম আবিরও ছিলো না ।
.
- হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না । আমার দিকে তাকাও ।
.
- মেঘা আবিরের দিকে তাকাতেই আবির মেঘার সামনে হাটু গেরে বসে পরে ....
.
- এই কি করছো .....
.
- তোমাকে আজ সারাজীবন আমাকে খাইয়ে দেওয়ার অধিকার দিব ।
.
- মেঘা চুপ ...
.
- তুমি কি আমার ভোরের আলো দেখার সঙ্গী হবে । হবে কি শীতের সকালের শিশির ভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাটার সঙ্গী । বেশী কিছু চাইবো না শুধু তোমার নরম হাতে একটু উষ্ম ছোয়া দিও । হবে কি আমার জোৎনা রাতের চাদ দেখার সঙ্গী । বেশী কিছু চাইবো না । শুধু জোৎনা রাতে তোমার কোলে মাথা রাখবো । আর তোমার ওই হাত দিয়ে আমার মাথায় একটা ভালোবেসে ছুয়ে দিও । করবে কি আমায় তোমার জীবনের সঙ্গী কথা দিচ্ছি কোনদিন তোমার বিশ্বাস ভাঙ্গবো না । জীবনে মরনে শুধু তোমারি রবো ।
.
- বলেই আবির মেঘার হাতে আংটি টা পরিয়ে দেয় । আর মেঘা কোন কথা না বলে সোজা এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে ......
.
- চলবে.........
--> Skip to main content

Posts

There's nothing here!